প্রকাশিত: ০১/০৪/২০২০ ১০:১২ এএম
ফাইল ছবি
Single Page Top

অনলাইন ডেস্ক :
প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয়ের পর কোনো লাশের শরীর মহামারী রোগ সৃষ্টি করে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গণহারে মানুষ গেলে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেয়ে কবর দেয়া উত্তম বলেও মত দিয়েছে সংস্থাটি।

নিজস্ব ওয়েবসাইটে ‘রিস্কস পোজড বাই ডেড বডিস আফটার ডিজঅ্যাস্টারস’ শিরোনামে একটি নির্দেশনা প্রকাশ করে ডব্লিউএইচও।

এতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তি থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তবে এর কোনো প্রমাণ মেলেনি।

কারণ মহামারীতে মারা যাওয়ার পর মানুষের শরীরে ওই এজেন্টের বেশিরভাগই দীর্ঘ সময় জীবিত থাকে না। তবে লাশের সঙ্গে সংস্পর্শ অব্যাহত রাখলে (কন্সট্যান্টলি ইন কনকাক্ট উইথ করপসেস) যক্ষ্মা বা রক্তবাহিত ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে।

লাশ থেকে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত কিছু ঝুঁকি থাকে। যেমন কেউ যদি কলেরা বা রক্তপ্রদাহজনিত জ্বরে (হেমোরেজিক ফিভার) মারা যান, তাহলে এটা ঘটতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, যেসব মানুষ নিয়মিত মৃতদেহ দাফন বা এর দাফন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাদের যক্ষ্মা, রক্তবাহিত ভাইরাস (যেমন হেপাটাইটিস-বি, সি এবং এইচআইভি) এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (যেমন কলেরা, ই-কোলি, হেপাটাইটিস-এ, রোটাভাইরাস ডায়রিয়া, সালমানেলোসিস, শিগেলোসিস এবং টাইফয়েড/প্যারাটাইফয়েড জ্বরে) সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।

সংস্থাটি জানায়, এসব তথ্য ও ঝুঁকির কথা একই সঙ্গে জরুরি বিভাগের কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া উচিত, যাতে যথাযথ পূর্বসতর্কতা অবলম্বন করা যায়, যখন মৃতদেহ নাড়াচাড়া করা হয়। একই সঙ্গে আতঙ্ক ও ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যায়।

এ ক্ষেত্রে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাতে বলা হয়েছে, যখন গণহারে মানুষ মারা যায় এবং মৃতদের আর শনাক্ত করা সম্ভব হয় না তখন লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেয়ে কবর দেয়া উত্তম। জনস্বার্থের জন্য গণকবর কোনো সুপারিশকৃত বিষয় নয়।

এতে প্রচলিত সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ আদর্শগুলো লঙ্ঘিত হতে পারে। লাশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় পারিবারিক প্রয়োজন ও সামাজিক রীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।

যদি রীতিতে ভিন্নতা থাকে তাহলে প্রতিটি সামাজিক গ্রুপকে নির্ধারিত এলাকায়, সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব মর্যাদা রক্ষা করার চর্চা করতে দেয়া উচিত। যেখানে কবরস্থান বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের স্থান পর্যাপ্ত নয় সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

পাঠকের মতামত

Single Page Bottom

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি: এইচআরডব্লিউ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দমনমূলক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতিগত ...

রয়টার্সের প্রতিবেদনমিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের, বিদ্রোহীদের পক্ষে টানছে ট্রাম্প প্রশাসন

মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে ...

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ব্ল্যাকলিস্ট, তালিকায় এক ডজন দেশ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ ও ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ...
Single Page Footer